মোটা হতে চান? তাহলে এই ৬ টি ঘরোয়া টিপস দেখুন




আমদের মধ্যে অনেকে যেমন ওভার ওয়েট হন, তেমনই এমন কিছু মানুষ আছেন যারা আন্ডার ওয়েট হন। সাধারণত একজন পরিণত মানুষের ওজন যদি স্বাভাবিকের থেকে কম হয়, তাহলে কিন্তু এই আন্ডার ওয়েট সমস্যায় ভুগতে হয়। এই ধরণের রোগের ক্ষেত্রে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কমে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত কম ওজন বা অতিরিক্ত রোগা হলে নিজেদের আয়নার সামনেও ভালো লাগে না, পছন্দসই জামাকাপড় পরে মনে হয় জামাকাপড়গুলো হ্যাঙ্গারে ঝুলছে। এছাড়া নানা কটু কথাও শুনতে হয়। সব মিলে জীবনে চলে আসে হতাশা।


তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়, মানে সহজ কথায় ওজন বাড়ানোর বা মোটা হওয়ার সহজ কতগুলি ঘরোয়া উপায় নিয়ে আমি আজকে হাজির আপনাদের কাছে। আপনার এই সমস্যা থাকলে পড়তেই হবে আজকের লেখা।

১. স্ট্রেস থেকে মুক্তি

রোগা হওয়ার বা দেহের ওজন দ্রুত কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ কিন্তু স্ট্রেস, যা এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে কিন্তু প্রথমেই স্ট্রেস বা অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে। কীভাবে করবেন, খুব সহজ প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট সময় বের করে মেডিটেশন করুন। এতে আপনার মস্তিস্ক রিল্যাক্সড হবে। এছাড়া দুপুরে আরাম করে ২ ঘন্টা ঘুমিয়ে নিন। এতেই খুব জলদি ফল পেয়ে যাবেন আপনি।

২. পি-নাট বাটার

পি-নাট বাটার হাই ক্যালোরি যুক্ত একটি খাবার। তাই প্রতিদিন একবার করে ব্রেড বা রুটি বা বিস্কুটের সাথে বেশ খানিকটা পি-নাট বাটার খেয়ে ফেলুন। তবে পেট বাঁচিয়ে। এতে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই তাড়াতাড়ি ওজন বাড়াতে চাইলে কিন্তু আজকেই কিনে ফেলুন পি-নাট বাটার। দোকানে তো পেয়েই যাবেন তবে বাড়িতে বসেই পেতে চাইলে আপনার পরম বন্ধু অ্যামাজন তো আছেই।

৩. ড্রাই ফ্রুটস

ড্রাই ফ্রুটস কিন্তু আদর্শ খাবার মত হওয়ার জন্য বা ওজন বাড়ানোর জন্য। এগুলিতে ক্যালোরির মাত্র অনেক বেশী থাকে। তাই কাজু, কিশমিশ, খেজুর এবং আমন্ড খেলে কিন্তু আপনার মোটা হওয়ার ইচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণ হবে। নিয়মিত সকালে ব্রেকফাস্টের সাথে ১০-১২ টি আমন্ড বা কাজু, কিশমিশ বা খেজুর খাওয়া শুরু করুন। তবে এগুলি খাওয়ার আগে রাতে ১/২ কাপ জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া ভালো দিনে অন্তত ৩ বার খেলে ফল খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে। এই সমস্ত রকম ড্রাই ফ্রুট আপনি পাবেন অনলাইনে অ্যামাজনে।

৪. ক্ল্যারিফায়েড বাটার

এই উপাদান কিন্তু শুধু আপনার ওজনই বাড়ে না তার সাথে আপনার শরীরকে বেশী পরিমাণে ভিটামিন গ্রহণে সক্ষম করে তোলে। তাই ক্ল্যারিফায়েড বাটার কিন্তু খুব কার্যকরী আপনার দেহের ওজন বাড়িয়ে তোলার জন্য।

ক্ল্যারিফায়েড বাটার ও চিনি মিশিয়ে দিনে ও রাতে খাবার ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে। ১ মাস এই রুটিন ফলো করলেই কিন্তু আপনার দেহের ওজন বৃদ্ধি পাবে| ক্ল্যারিফায়েড বাটার আপনি সহজেই অ্যামাজনে পেয়ে যাবেন।

৫. আলু

আলু কার্বোহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগারে পরিপূর্ণ একটি উপাদান। তাই এই উপাদান আপনাকে খুব ভালো ভাবে হেল্প করবে ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। এর জন্য প্রতিদিন দু’বার করে খাবার পাতে সেদ্ধ আলু খান। এছাড়া আলু চিপস অলিভ অয়েলে ভেজে প্রিজার্ভ করে রেখেও খেতে পারেন। ২ মাস নিয়মিত খেলেই কিন্তু পার্থক্য আপনার চোখে ধরা দেবে।

৬. ডিম

ডিম ওজন বৃদ্ধি করার জন্য অত্যন্ত ভরসা যোগ্য একটি উপাদান। এতে বর্তমান ফ্যাট, প্রোটিন ও গুড ক্যালোরি আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ভালো। ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে তাই নিয়মিত ডিম খাওয়া শুরু করুন। ৩-৪ টি ডিমের সাদা অংশ খান প্রতিদিন। কোনোভাবেই কাঁচা ডিম খাবেন না। সেদ্ধ করার ডিমের সাদা অংশই খাওয়া উচিত। ১-২ মাসের মধ্যেই কিন্তু ফল আপনি পেয়ে যাবেন।

ওজন বৃদ্ধি করা কিন্তু ওজন কমানোর চেয়ে অনেক সহজ। তবে এর জন্য সবথেকে বেশী প্রয়োজন সঠিক ডায়েট। তবে অনেকেরই মেটাবলিজম খুব বেশী ভালো হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই রোগা হওয়ার পেছনে বা দেহের ওজন কমে যাওয়ার পেছনে নানা ধরনের শারীরিক দুর্বলতা থাকে, সে ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মত খাওয়া দাওয়া করা প্রয়োজন। যেকোনো রকমের প্রোটিন শেক বা হেলথ ড্রিংক যা ওজন বৃদ্ধি করে বলে দাবি করে থাকে সেগুলি খাওয়ার আগেও কিন্তু অতি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

Comments

Popular posts from this blog

কাপিং থেরাপি (হিজামা) কিভাবে কাজ করে?

হিজমা-কাপিং দ্বারা চিকিৎসাকৃত এমন কিছু রোগের নাম।